ভালো বাসলে যত্ন করতে শিখুন, অযত্নে হেডফোনের তারও পেচিয়ে যায়
হঠাৎ করে মাথার মধ্যে কেমন যেন ঝিনঝিন করতেছিলো। মনে হলো কেউ আমাকে ডাকতেছে। হঠাৎ করেই আমার দৈবকর্ন উদ্দীপ্ত হয়।চারপায়ীর উপর বসে, চার্জার কানেক্ট করে ফোন স্ক্রল করতেছিলাম। এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগতে ছিলো নাহ্, কিন্তু ফোনেও চার্জ নাই। তাই একটু চার্জ হওয়ার পর বিছানায় গিয়ে শুয়ে. শুয়ে স্ক্রল করতেছি। আবার শেষ হলে আবার চারপায়ীতে। এভাবে সকাল থেকে প্রায় দুপুর😞। কি আর করা!!
মোবাইলের পিনের মধ্যে থেকে নিদারুণ কন্ঠে ভেসে আসছে, " আমার ইয়ে তে কতোবার ______ তোর শান্তি হবে? ভাইরে ভাই আমার কি জীবন নাহ্!! আমার মতো মোবাইল পাইছিলি দেখে তোর সাথে থাকতে পারছে। অন্য মোবাইল হলে কবে ব্লাস্ট হইয়া যাইতো। কি না করি তোর জন্য? ঘুমাবি তাও, আমার ইয়েতে ইয়ারফোন ঢুকিয়ে গান চালিয়ে ঘুমাবি। আমার কি বিশ্রাম আছে? তোর অমোক স্যার যুম অন করে ক্লাস নেবে, সাথে আবার পরীক্ষা। তোর এসাইনমেন্ট করতে করতে আমার Ram খাইয়া দিছোস। কি করস না তুই আমার সাথে? চার্জ শেষ না হলে বন্ধ করছোস কখনো? মানুষে ফোন হাতে নিয়ে ঘুইরা বেড়ায়। আর আমারে মানুষের সামনে বের করতে লজ্জা করে? আই ফোন হলে তো ঠিকই আয়না পাইলেই দাঁড়ায় যাইতি!! সারাদিন মানুষরে বলিস, তোর ভালোই লাগে না। আর আমার কেমন লাগে? আমার শেষ কথা আমি তোর সাথে থাকব না, থাকব না, আমি ব্লাস্ট হয়ে যাবো। "
আমি সবই শুনলাম আর বল্লাম," তুই ছাড়া আমার আপন আর কেউ নাই রে। সবাই আমাকে ছেড়ে গেলেও তুই যাস না। তুই ছাড়া আমার সময় কাটে না। তাই তোর কাছেই সবসময় থাকি। তুই কথা বলতে পারিস না বলেই তোর উপর অত্যাচার করি। তুই কথা বলতে পারলে আমার সবকিছু সহ্য করতি না। আমরা মানুষেরা এমনই। যতদিন উপকার করতে পারবি মনে রাখব, যখন ব্লাস্ট হয়ে যাবি বা নষ্ট হয়ে যাবি, তোকে ফেলে অন্য ফোন কিনে নিয়ে আমার কাজ চালাবো। যাই হোক আমিও পরিস্থিতির স্বীকার। তা না হলে তোর উপর এতো প্রেসার আসতো না। যা হোক এখন থেকে চেষ্টা করবো তোকে যতোটা সম্ভব যত্ন করার।
হঠাৎ করে মায়ের ডাকে আমার সম্ভ্রম ফিরে এলো😞😞😞😞
Moral of the story ~~~~~~
[বিঃ দ্রঃ ভালোবাসলে যত্ন করতে শিখেন। অযত্নে পাশে মোবাইল কেন কাউকেই পাবেন না]
©Setu Deay Ovi
https://drive.google.com/drive/folders/1EthaNXjGfOP0F61kpFnebPxdZ73k8R7Z
ReplyDelete